Showing posts with label সম্মান. Show all posts
Showing posts with label সম্মান. Show all posts

Saturday, February 2, 2019

স্বপ্নের মতো

আমাকে অনেক সময় অনেকেই বলেছেন যে গল্প ছাপানোর ক্ষেত্রে কেন আমি উদ্যোগ নিচ্ছি না বা নিই না। এর সম্যক দু একটা কারণ আছে। মুস্কিলটা হল আমি চাকুরিজীবি এবং তদুপরি বাঙালি। প্রথম ক্ষেত্রে হাঁপ ছাড়ার পর যেটুকু সময় বাঁচে তা দিয়ে সংসার নামক একটি ধর্ম আমাকে মন প্রাণ দিয়ে মেনে চলতে হয় (কিছু লোকে মানতে চায়না যদিও)। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অবকাশের আচ্ছন্নতায় হারিয়ে যাওয়া আমার রক্তে আছে। তাছাড়া পাণ্ডুলিপি আঁকড়ে ধরে প্রকাশকদের দরজায় দরজায় টিপসই দেব এমন একটি রোবব্বার আমার কপালে জোটেনি এ অবধি। যদিও গল্প ছেপে বেরোনোর শখ আমার সাড়ে সতেরো আনাই আছে, এ স্বীকার করতে আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। 

আমার সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে, এহেন মোক্ষম সময় এক সহৃদয় প্রকাশনা এগিয়ে এলেন এবং আমার মতো আরো নতুন কলমদের সুযোগ দেওয়ার মনস্থির করলেন। এবং সঙ্গে এও জানালেন যে এই বইয়ের প্রকাশ হবে যে সে জায়গায় নয়, হবে একেবারে এবছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায়। প্রথমটায় বিশ্বাস করতে মন চায়নি কারণ আমার সাথে কোনো প্রকাশক নিজের থেকেই যোগাযোগ করবেন এটা কতকটা অলীক স্বপ্নের মতো। তাই কুণ্ঠায় মাখামাখি হয়ে আমার দুটি গল্প এগিয়ে দিয়েছিলাম প্রকাশকের টেবিলে। ভেবেছিলাম সহস্র গল্পের ভিড়ে তাদের বোধহয় পথভ্রম হবে। কিন্তু আমার সমস্ত আশঙ্কা মিথ্যে করে 'ছায়াসঙ্গী' জায়গা করে নিল  উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রাদের মাঝে, প্রতিলিপির আকাশে। 



সূচিপত্রে নাম দেখে প্রথম হওয়া প্রেমের মতো বুক কেঁপে উঠেছিল। আত্মহারা হয়ে রাস্তার ধারেই মোবাইল ধরে দাঁড়িয়েছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। রঙিন মলাটের ফাঁকে আমার 'মলাটের' পাতা থেকে উঠে আসা গল্প, মধুর বিস্ময়ে থমকে আছে প্রকাশের অপেক্ষায়, পাঠকের অপেক্ষায়, বইমেলার অপেক্ষায়। উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দিরের কর্মকর্তা এবং সম্পাদকদ্বয় মৌমিতা দত্ত ও শুভ্রজ্যোতি পাল - কে আমার অনেক ভালোবাসা ও সেলাম। শেষের পাতায় কিংবদন্তি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দু চার পংক্তি লেখা শিহরণ জাগানোর পক্ষে যথেষ্ট। সর্বোপরি আমার সমস্ত পাঠকদের আমার নতুন করে কিচ্ছু বলার নেই, পাশে থেকে এই পিঠ চাপড়ানোটা না পেলে হয়ত এটা কখনোই সম্ভব হতো না। আপনাদের সকলকে কুর্নিশ।

পুনশ্চ : এই বইটি পাওয়া যাবে বইমেলার ৬ নম্বর গেটে, ২৫৬ নং স্টলে। ভালো থাকবেন......


#Molat #KolkataInternationalBookFair #KolkataBookFair2019 #bengalishortstories #bengaliliterature

Thursday, August 9, 2018

পুরস্কার

যেকোনো রকম কম্পিটিশনের নাম শুনলেই বুক কাঁপে আমার…...সেই ছোটোর থেকে আমাদের পুরোনো পাড়ায় একটা বিরাট বড় খেলার মাঠ ছিল। নাম ছিল ডালমিয়ার মাঠ। সেই মাঠে ফি বছর স্পোর্টস হত আর আমি নাম দিতাম সেখানে, অন্যান্য ছেলেমেয়েদের মতোই। নাম ডাকা শুরু হলেই পিলেটা লাফিয়ে উঠত আচম্কা। স্টার্টিং পয়েন্টে দাঁড়ানোর সময় দুকানের মধ্যে দিয়ে গরম হাওয়া বইত যেন। ঠোঁট শুকিয়ে আসত, অসাড় লাগত সমস্ত শরীর। মনে মনে ভাবতাম, নিকুচি করেচে ! কেন যে মরতে নাম দিলাম কে জানে। কানের পাশে হুইসেল বাজলেই সাদা দাগ দেওয়া লাইনগুলোর ফাঁক দিয়ে তীরবেগে দৌড়োতে শুরু করতাম। ফিনিশিং লাইনে আসার পরেও মনে হত যেন দৌড়েই চলেছি। একবার তো দৌড়ে বাড়িই চলে এসেছিলাম। 
তবে ইদানীংকালে তেমনটা না হলেও ভেতর ভেতর একটা ধুকপুকানি থেকেই যায়। এই যেমন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখা একরকম আর সাহিত্যের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আরেকরকম। সাহিত্যের প্রতিযোগিতায় আমার মতো আনকোরা লেখকের যে লেখা গ্রাহ্য হবে এইটেই অনেক বড় ছিল আমার কাছে। এ যাবৎ আমার কবিতা বা লেখা দু একটা জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে বটে কিন্তু একেবারে কম্পিটিশন জিতে প্রথম পুরস্কার বাগিয়ে ফেলব এহেন চিন্তা দুঃস্বপ্নেও করিনি কখনো। আর তাই প্রতিলিপির দপ্তর থেকে যখন মেল্ পেলাম তখন দু চারবার চোখ কচ্লে দেখতে হয়েছিল যে ঠিক দেখছি তো ! বিশ্বাস করতে পারিনি বলে রিপ্লাই দিয়ে ফলাফলের লিঙ্ক চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেটাও যখন মিলে গেল তখন যতটা না আশ্চর্য হয়েছিলাম তার থেকেও কয়েকগুন এক অব্যক্ত ভালোলাগায় ভরে গিয়েছিল ভেতরটা। কারণ প্রতিলিপির প্রথম সারির লেখায় আমার গল্প - "ছায়াসঙ্গী" শীর্ষস্থান পেয়েছে এর অনুভূতি কি তা আমি হাজার পাতা লিখেও বুঝিয়ে উঠতে পারব না। 
প্রতিলিপির সমগ্র বিচারকমণ্ডলীকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সর্বোপরি প্রতিলিপির কর্মকর্তা মৌমিতা দত্তর প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। লেখা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি ও সর্বোপরি ফলাফলের লিঙ্ক চেয়ে বিরক্ত করেছি। অথচ সবটাই হাসিমুখে উনি উত্তর দিয়েছেন এবং প্রয়োজনমতো সাহায্য করেছেন। আপনাদের সংস্থার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি। আর মলাটের পাঠকদের কাছে যে আমি চিরঋণী এ বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনাদের উৎসাহতেই কলম চলছে। পাশে থাকুন এভাবেই...…... 
"ছায়াসঙ্গী" গল্পের  লিংক দিলাম এখানে -
https://debdattasinha.blogspot.com/2016/06/blog-post_6.html  - প্রথম পর্ব
https://debdattasinha.blogspot.com/2016/06/blog-post_15.html - অন্তিম পর্ব 

    
#bengalishortstories #bengaliarticle #pratilipi #bengalipratilipi #Molat #DebdattaSinha

Saturday, March 3, 2018

আরও একবার

আমার ঋণের শেষ নেই৷ কি লিখব, বা এই সময় ঠিক কি লেখা উচিত, প্রচুর ভেবেও সেসব আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না। কারণ এ যে আমার পরম পাওয়া। চোখের সামনে ছাপার অক্ষরে নিজের কবিতাকে দেখতে পাওয়া একরকম স্বর্গলাভ বলা যেতে পারে। অন্তত আমার কাছে কতকটা তাই। গন্যমান্য মানুষদের ভিড়ে যে নগন্যের রচনাও স্থান পাবে, এ নিজের চোখে যতবার দেখছি ভালোলাগার চেয়ে বিস্মিত হচ্ছি বেশি। অঙ্কুর সাহিত্য সংকলনের সম্পাদকদ্বয় শ্রী সুরজিৎ হালদার ও শ্রীমতী কণিকা মহন্ত কে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। গ্রূপের মাননীয় ও মাননীয়া এডমিনদের আমার প্রণাম। পরের প্রকাশনাতেও যে আমার লেখাকে জায়গা করে দেবেন তা আমি সত্যিই বুঝিনি । আর ঠিক সেই কারণে এই ঋণ বেড়েই চলেছে। অঙ্কুর নিয়ে আপনাদের নিরলস প্রয়াস ও পরিশ্রমকে আমার কুর্নিশ । আশা করি সাহিত্যের জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতোই নজির রেখে চলুক এই প্রকাশন। আপনাদের সকলকে আমার অন্তরের শুভেচ্ছা। মলাটের পাঠকদের কাছে আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ, যাঁরা একটানা পাশে আছেন বলেই আরো একবার অসম্ভব জিনিস সম্ভব হল।


ছবি: নিজস্ব

ছবি: নিজস্ব

Saturday, April 29, 2017

এ মণিহার

স্রোতের অভিমুখে চলা এক আর স্রোতের বিপরীতে চলা আরেক। আমি সাধারণ, নির্ঝঞ্ঝাট, নির্বিবাদী, শান্তিপ্রিয় একজন। জলে নামতেই ভয় পাই, সাঁতরানো তো দূর। দশটা ছটা অফিস করি, সংসারের নিয়ম মেনে কিছু কাজ করি আবার কিছু করিও না। মাজি-মধ্যি এলার্জি হলে ঘাড় মুখ গুঁজে কলমের আঁচড় কাটতে থাকি। সে আঁচড়ের দাগে কখনো গল্প, কখনো কবিতা আবার কখনো ছাইপাঁশ তৈরী হয়। সেসব জড়ো করে লজ্জা ঘেন্নার মাথা খেয়ে ফেসবুক ও ব্লগের দেওয়ালে পোস্টারের মতো সাঁটিয়ে দিই। গুণীজনরা সেসব পড়েন, ভালোবাসেন, সমালোচনা করেন, উৎসাহ দেন, কেউ বিরক্ত হন আবার কেউ এড়িয়ে যান। এহেন লোকের কাছে যদি ছোটবেলার স্কুল টিচারের মেসেজ আসে তবে ঘাবড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয় বৈকি। মনে হতে থাকে এইরে ! নীল ডাউন হবার মতো কিছু করলাম নাকি ? অবশ্য ওতে আমি ভয় পাইনা মোটে। ওসবে যথেচ্ছ অভিজ্ঞতা আছে আমার। শুধু বুড়ো বয়েসে লোকে পোলাপান বলে হাসবে, ওতেই যা এট্টু মানহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ফোন করে তিনি যা বললেন তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছের আবডালে উঠে স্থির হয়ে জিরোচ্ছিল বেশ কিছুক্ষন। খানকতক চড়াইপাখি বনবন করে ফ্যানের মতো ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথার চারপাশে। দুচারবার বিষম খেয়ে বুঝতে পারলুম নবনালন্দার সুবর্ণজয়ন্তী ম্যাগাজিনে আমার "নব নালন্দা ডট ইস্কুল" লেখাটা চাইছেন।

কি আশ্চর্য !........ যে স্কুলের ম্যাগাজিন ছোটোর থেকে বরাবর হাতে নিয়ে পড়ার অভ্যেস ছিল সেই স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী প্রকাশনায় আমার লেখা ? বিশ্বাস হয়নি প্রথমটায়। সেজন্য অনিরুদ্ধ স্যারকে দুয়েকবার ফোন করে বিরক্তও করেছি। হাসিমুখে উত্তর দিয়েছিলেন সমস্ত কিছুর। হঠাৎ করে যেন কোনো এক নাম না জানা নদী কুলকুল করে বয়ে গিয়েছিলো বুকের মধ্যে দিয়ে। সেই জলের সুরে আমার আহ্লাদ, আনন্দ, নষ্টালজিয়া প্রভাত বীণার মতো বেজে উঠেছিল। অনুরণনে ছড়িয়ে পড়েছিল মুগ্ধতার বেরোখ উচ্ছাস। কেবলই মনে হয়েছিল, ছুটে যাই একবার, দেখা করে আসি সবার সাথে। ছোট ছোট কাঠের বেঞ্চিগুলোয় পিঠ ঠেকিয়ে আয়েস করে বসে গল্প জমাই। পাকেচক্রে কিছুতেই হয়ে উঠলো না, সেজন্য আমি আন্তরিক লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। প্রতিশ্রুতি রইল, একদিন প্রপার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে স্কুলে গিয়ে দেখা করে আসবো। আর অনিরুদ্ধ স্যারকে শুকনো ধন্যবাদ দেব না। আমার জীবনে অন্যতম আনন্দঘন মুহূর্তের কারণ আপনি, ঋণী হয়ে রইলাম চিরতরে..........। মাঝে মধ্যেই ফোন করে বিরক্ত করব আবার। সম্পাদক মণ্ডলীর সমস্ত আন্টি, স্যার এবং গোটা পরিচালন পর্ষদকে আমার আজানু প্রণাম ও অফুরান ভালোবাসা। 

পুনশ্চ : "নব নালন্দা ডট ইস্কুল" যদি কেউ পড়তে চান তাহলে আমার ব্লগের ডান দিকে 'জনপ্রিয় পোস্ট' কলামটির শীর্ষে দেখুন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি এই লেখাটিতে এখনো পর্যন্ত প্রায় চারহাজার ভিউজ হয়েছে।
চিত্র : নিজস্ব 

চিত্র : নিজস্ব 

চিত্র : নিজস্ব 

#bengaliarticle #oldschool #schoolmemories #nostalgia #navanalanda #navanalandaalumni #schoolmagazine #goldenjubilee

Wednesday, March 1, 2017

স্বপ্নের মতো

অফিস থেকে ফিরে, ড্রয়িং রুমে অভ্যাসমতো কাঁধ থেকে ব্যাগটা রাখতেই মা বললেন, 'তোর একটা ক্যুরিয়ার এসেছে, ভেতরের ঘরে দেরাজের ওপর রাখা আছে'। মনে পড়তেই বুকের মধ্যে মৃদু কম্পন অনুভব করলুম। একটা পার্সেল আসার কথা ছিল বটে। জিজ্ঞেস করলাম, 'কখন এসেছে' ?
- ওই দুপুরের দিকে.......আড়াইটে তিনটে নাগাদ হবে। 
- ও........আচ্ছা।  

পায়ে পায়ে ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকলুম। দেরাজের ওপর থেকে সাদা খামটা নিয়ে এক ঝটকায় মুখটা ছিঁড়ে ফেললুম। যেটা বেরিয়ে এলো সেটা আমার এতদিনকার নিরন্তর কলম পিষে চলার প্রথম স্বীকৃতি, আমার গোপন প্রেমের স্থির অক্ষরচিহ্ন। তবে বসন্ত বোধহয় সত্যিই এলো। আসবে যে, তার আগাম খবর পেয়েছিলুম, কিন্তু সে যে আমার তালুবন্দী হয়ে আমারই হৃদস্পন্দন দ্বিগুন বাড়িয়ে তুলবে এ আমার কল্পনাতীত ছিল। একটা মাঝারি সাইজের কবিতার বই যার রঙিন প্রচ্ছদের জলরঙে আমার মধ্যবয়সী বাউন্ডুলে আবেগ মিলেমিশে এক হয়ে যেতে লাগলো। কাঁপা কাঁপা হাতে সূচিপত্র খুঁজে বের করে ফেললুম আটচল্লিশ নম্বর পাতাটা। সে পাতার ওপর সারি সারি কালো কালির বিন্যাস যেন আমার বুকের ভেতর কালবৈশাখীর ঝড় হয়ে বইতে শুরু করে দিলে। আর আমি স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঠায় চেয়ে রইলুম আমার শব্দসন্তানের দিকে। 'ঘুম আসছে' - আমার প্রথম ছেপে আসা কবিতা। 

বাড়ি বসেই যে এমন ম্যাজিক দেখতে পাবো ভাবিনি কখনো। তাই সম্পাদক সুরজিৎ হালদারকে শুকনো ধন্যবাদ দেব না। আমার কবিতা ও লেখা পড়ে আপনি যে অঙ্কুরের কবিতা সংকলনে আমার কবিতাটি মনোনীত করেছেন তার জন্য চিরতরে ঋণী হয়ে রইলুম আপনার ও সংস্থার অন্যান্য সদস্যদের প্রতি। আপনাদের মঙ্গল হোক। আর কি বলি ? এই অনুভূতি প্রথম প্রেম নিবেদনেই বাজিমাত করার মতো কতকটা, ভাষায় বুঝিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আমার 'মলাটের' পাঠক পাঠিকাদের অনুরোধ করি এভাবেই পাশে থাকুন..........আপনাদের উৎসাহতেই এটি সম্ভব হলো।  

পুনশ্চ : বইয়ের মূল্য চল্লিশ টাকা। এটি সংগ্রহ করার জন্য সম্পাদক সুরজিৎ হালদারের সাথে যোগাযোগ করুন সত্ত্বর।

ছবি : নিজস্ব 

ছবি : নিজস্ব 


#bengaliarticles #bengaliwriteups #respect #gratitude


Tuesday, October 25, 2016

সম্মান

পাজামারও বুকপকেট ! গুবরে পোকাও এরোপ্লেন ! আর আমিও নাকি লেখক !
নাহয় কদিন লেখালিখির দরুণ কজন পাঠক পাঠিকা জুটেছে, তাই বলে একেবারে ফুলকারীর আসন বিছিয়ে মাথায় মৃদুমন্দ তালপাখার বাতাস ! বলেন কি কত্তা ! এমন অসম্ভব কাণ্ডও হয় ? আর যাঁরা এই অসম্ভব কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার অফুরান ভালোবাসা ও সশ্রদ্ধ প্রণাম। কলমের আঁচড় তরবারির শানিত ফলার চেয়েও মোক্ষম এ আমরা সকলেই জানি। ফেসবুকের দেওয়ালে যাঁরা নিয়মিত লেখালিখি করেন তাঁরা একাধারে গুণীজন এবং বেশ জনপ্রিয়ও বটে, সেখানে আমার কলম সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর বেশি কিছু নয়। তবু আমার কপালে যে এমন প্রাণকাড়া জলখাবারের আয়োজন ছিল আর তার জন্য যে মনের মধ্যে বেশ ফুরফুরে ভালোলাগার স্রোত বয়ে গেছে তা সর্বসমক্ষে বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। তাই অঙ্কুরের সমস্ত সদস্যদের জন্য আমার অকুন্ঠ মঙ্গলকামনা। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য - সুরজিৎ হালদার, যিনি আমার কথা আলাদা করে ভেবেছেন ও ডাকযোগে এই সম্মান পত্রটি পাঠিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই সুরজিৎবাবু। শুধুমাত্র সমৃদ্ধ হয়েছি বললে ভুল বলা হবে বরং এহেন কর্মকাণ্ডে স্তব্ধ হয়ে গেছি। 

আমার ব্লগের যে কতিপয় পাঠক পাঠিকা আছেন এই সম্মানের সিংহভাগ দাবিদার তাঁরাই । তাঁদের উৎসাহ ও পরামর্শতেই আমায় কলমের কালি আরও মসৃন হয়। তাঁদের সকলকে আমার কুর্নিশ ও সেলাম।  


#bengaliarticles #bengaliwriteups #respect #gratitude #certificate