Saturday, May 26, 2018

সাপ্তাহিকী ৩৬ # স্বরলিপি


প্রিয় রূপম,
এই চিঠি লেখার প্রয়োজন পড়বে ভাবিনি কখনো। অথচ কিছু না বলা কথার পাহাড় জমে আছে বুকে।

ফ্রেশার্সের দিন স্টেজে যখন সি মেজরে ধরলে 'আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ' ঠিক সেই মুহূর্তে তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর একের পর এক 'একটুকু ছোঁয়া লাগে', 'তুমি রবে নীরবে' শুনতে লাগলাম, কেমন মাতাল মাতাল লাগছিলো জানো। অজান্তে কোনো এক অলীক ঘোরের মধ্যে ডুবে যাচ্ছিলাম। বেঁহুশ জ্বরের মতো তোমার গানের হাত ধরে ছায়াপথের যাত্রী মনে হচ্ছিল নিজেকে।

আমি জানি তুমি ঠিক লক্ষ্য করেছিলে আমায়। অনুষ্ঠানের শেষে কায়দা করে জেনে নিয়েছিলে আমার কেমন লেগেছে। 'ভালো' ছাড়া কিছুই বলে উঠতে পারিনি তখন। তুমি সামনে এসে দাঁড়াতেই খানিক আড়ষ্ট হয়ে পড়েছিলাম যে। ছাইরঙের পাঞ্জাবি, রিমলেস ফ্রেম আর হালকা দাড়িতে দিব্বি মানিয়েছিল। 

ফার্স্ট ইয়ারে ঢুকতে না ঢুকতেই ফাইনাল ইয়ারের রূপম চক্রবর্তীর সাথে প্রেম, আমরা তখন বেদুইন মেঘের মতো হাওয়ায় উড়ছি। সবাই কানাঘুষো বলত পল সায়েন্স আর ইংলিশ লিটারেচারের মহাজোট তৈরি হয়েছে। 

তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতাম ক্যান্টিন, সিনেমা, নন্দন, আর ময়দানের সেই অশ্বত্থ গাছের ছায়া ছায়া দিনগুলো। নারায়ণগঞ্জের পিকনিক স্পটে যখন সবার আড়ালে তুমি কাছে এলে, কি লজ্জা কি লজ্জা ! তোমায় ছুঁয়ে দেখার লোভ সামলানো বড় কঠিন ছিল জানো, পারিও নি....। 

এরপর থেকেই বোধহয় লুকোচুরির পালা চুকল আমাদের, তাই না ? ছোটখাট অসুস্থতায় তুমি বাড়ি অবধি চলে আসতে, মনে পড়ে ? ফোনে নাকি আমার মুখ দেখা যায় না, এসএমএসে কথা হয় না, আরও কত কি ! ক্রমে দুই বাড়ির লোকজনের কাছে আমরা আরও স্পষ্ট হলাম। সাড়ে তিন বছরের প্রেম পরিণত হল পরিণয়ের দোরগোড়ায় এসে। এক পৌষের সন্ধ্যায় তোমার মা এসে আমার মাথায় হাত রাখলেন।

আমার তখন ফাইনাল ইয়ার শেষ। তুমি মাস্টার্স কমপ্লিট করে একবছর হল চাকরিতে ঢুকেছ। কয়েক মাস বাদেই তোমার বিদেশযাত্রা। এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ বলে মেনে নিলেন সকলে। সেদিন কুণ্ঠার ভারে তোমার বাবা মায়ের সাথে ভালো করে কথা পর্যন্ত বলতে পারিনি। বলতে পারিনি তুমি ফেরার পরেই বিয়ে নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তোমার চোখেমুখের ঔজ্জ্বল্য আমার কণ্ঠরোধ করেছিল সেবার। তোমাকে নিরাশ করতে প্রাণ চায়নি। বেশ মনে আছে, সিঁদুরদানের সময় আমার পা কাঁপছিল। বারবার ভেবেছিলাম যদি তুমি না ফেরো, আর যদি না আসো...........। মনকে বুঝিয়েছিলাম এমন কপাল কজনের থাকে ? হৃদয়ের ঘরে যার আসন পাতা সেই এসে বসছে এমন ভাগ্য কজনার হয় ?

তুমি যাওয়ার পর বড় অগোছালো হয়ে গেলাম। আমার সবটুকুন নিয়ে চলে গেলে যেন। আমি পড়ে রইলাম একক শূন্যতা নিয়ে। দিন যেতে লাগল। তুমি ফেরার পথ ভুলে গেলে। আমারও ভুল ভাঙতে একবছর সময় লেগেছিল, বিশ্বাস করতে আরও এক বছর। আমার উদ্বেগ, ভয় সমস্তটা সত্যি হল যখন শুনলাম তুমি লিভ টুগেদার করছ একজন ফরাসী শ্বেতাঙ্গীর সাথে। 

অন্তঃস্বত্ত্বা বিদেশিনীর দায়িত্ব তোমার কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছিল আমার থেকেও। আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছিল রূপম। 

............ কেমন করে !! কেমন করে পারলে তুমি আমার সমস্ত অস্তিত্বকে এক ঝটকায় মিথ্যে করে দিতে ? কেমন করে পারলে তুমি জড়িবাঁধা মুহূর্তদের ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতে ? তবে কেন গালভরা প্রতিশ্রুতির জালে বেঁধেছিলে আমায় ? এমন করে দূরে সরিয়ে দেবে বলেই কি ? পুরোনো মানুষ, পুরোনো কথার আয়ু এক - দু বছরের বেশি নয়, এ যেন তুমি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে......

তবু ভেবেছিলাম তুমি ফিরবে, হয়ত কোনো একদিন..........

তোমার গানের খাতাটা যত্ন করে তুলে রেখেছি আমাদের শোবার ঘরের ছোট দেরাজে। তোমার গিটারের তারটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। আশরাফের দোকান থেকে কিনে একটা নতুন লাগিয়ে দিয়েছি। বারান্দার আরাম কেদারায় তুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। মুন্নাকে দিয়ে ফুলফুল ছিটের একটা নতুন গদি করিয়েছি। তুমি এলে সব দেখতে পাবে....... আসবে তো...... ?

ইদানিং মাথার ভেতর একটা যন্ত্রনা হতে থাকে জানো। কেমন যেন পাগল পাগল লাগে সেসময়। কানের মধ্যে একটা ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকতে থাকে একনাগাড়ে। বড় কষ্ট হয়, বড় কষ্ট .......... মনে হয় তোমার বুকের মধ্যে গুটিয়ে শুয়ে থাকি। তোমার শার্টের হাতাটা আঙুলের মধ্যে জড়াই। ঘুমের মধ্যে কত খুঁজেছি তোমায়, তোমার মাথার বালিশটা আঁকড়ে পড়ে থাকি রাতের পর রাত। দরজায় সামান্য আওয়াজ হলেই ঘুম ভেঙে যেত। ভাবতাম তুমি এলে বুঝি। আরও একবার মোহভঙ্গ হত।

আজকাল কেমন যেন হাত পা অবশ লাগে। বিশেষ কথা বলতে ইচ্ছে করে না। লোকে বলে আমার নাকি মাথার রোগ হয়েছে। ওরা জানে না মনের রোগের উপশম কোথায়। তুমি যদি একবার এসে বসতে কাছে, একবার যদি চুলে বিলি কেটে দিতে, আমার সকল গ্লানি, ক্ষয়, আপনিই জুড়িয়ে যেত। ক্লান্ত হয়ে গেছি রূপম, বড় ক্লান্ত লাগে এখন.........

----------------------------------------------------------------------------

এপর্যন্ত এসে অতসী জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকে নির্নিমেষ। গরাদের গায়ে ধাক্কা লেগে ভাঙা রোদের টুকরো এসে ছড়িয়ে পড়েছে ঘরের মেঝেতে। দুপুরের তপ্ত হাওয়ায় চুল এলোমেলো হতে থাকে সর্বহারা উন্মাদিনীর, ফড়ফড় করে উড়তে থাকে পেপারওয়েটের নিচে রাখা অক্ষরহীন দিস্তা কাগজগুলো। মেঝের ওপর ছায়া পড়ে দুজন মানুষের। 

একজন পুরুষকণ্ঠ ডেকে ওঠেন, 'মাসিমা.........মাসিমা......' ? 

এই দুটি শব্দে অতসীর বলিরেখায় বিন্দুমাত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় না। আগের মতোই সে নির্বিকার তাকিয়ে থাকে জানলার বাইরে। 

পুরষকণ্ঠটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, 'আজও আপনি চিঠিটা শুরু করলেন না' ?

পাশে দাঁড়ানো একজন তরুণী বিদেশিনীর দিকে তাকিয়ে বলেন, 'চিঠি লিখব, চিঠি লিখব করে রোজ কাগজের তলব করেন। অথচ কাগজ দিলে এক বর্ণও লিখে উঠতে পারেন না। চিঠি লেখা তো দূর উনি ভালো করে কথাই বলেন না এই হোমের কারোর সাথে। আপনিও তো গত কয়েকদিন ধরে আসছেন, ফিরে তাকাচ্ছে কি ? সর্বক্ষণ যেন অন্য জগতে পড়ে রয়েছেন । অথচ এই অবস্থায় আপনি বিদেশে  নিয়ে যেতে চাইছেন। আমি তো বলব ভীষণ ঝুঁকি নিয়ে ফেলছেন'।

'এটা ঝুঁকি নয় ডঃ সেন, উনি আমার দায়িত্ব'। স্পষ্ট বাংলায় দৃপ্তস্বরে কথাগুলো বলল শ্বেতাঙ্গী তন্বী। 

ডঃ সেন খানিক্ষন চুপ করে থেকে বললেন, 'বেশ, আপনি যখন সমস্ত পেপার্স সাবমিট করেছেন আমার আর কি আপত্তি থাকতে পারে। শুধু কয়েকটা জায়গায় সইয়ের ব্যাপার আছে'। 

পাশের টেবিলের ওপর কয়েকটা জরুরী কাগজ এগিয়ে দেন চিকিৎসক। বিদেশিনী সই করতে থাকে একের পর এক। 

ডঃ সেন খানিক সংকোচে জিজ্ঞেস করলেন, 'কিছু মনে করবেন না, মানে হঠাৎ এইভাবে এতবছর পর অতদূর থেকে এসে ওনাকে নিয়ে যেতে চাইছেন......কারণটা ঠিক.............'

স্মিত হাসে তরুণী, তারপর সই করে কাগজগুলো ফিরিয়ে দিয়ে বলে, 'বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল, আমি যেন ওনার কাছেই থাকি। কাজের সূত্রে আমার ফ্রান্সের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। তাই ওনাকেই নিয়ে যেতে এসেছি। তবে আপনি চিন্তা করবেন না, খুব ছোটবেলায় মা হারিয়েছি, ওনার চিকিৎসার কোনোরকম গাফিলতি আমি হতে দেব না'।

ডঃ সেন সম্মতিসূচক মৃদু ঘাড় নাড়লেন। কাগজের ওপর চোখ বুলিয়ে সইগুলো চেক করে নিলেন। সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা...... ক্যাথরিন চক্রবর্তী।

ক্যাথরিন পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় জানলার দিকে। হাঁটুমুড়ে বসে অতসীর কাঁধের ওপর আলতো করে হাত রাখে। তারপর কোমলস্বরে ডাকে, 'মা......... মা......'?

ধীরে ধীরে অতসী ঘুরে তাকায় ক্যাথরিনের দিকে, বেশ কিছুক্ষন নিরীক্ষণ করে নিস্তেজ গলায় বলে, 'কেএএ......' ?  

ক্যাথরিন জড়িয়ে ধরে অতসীকে। অচেনা মানুষের ভীষণ অদ্ভুত চেনা গন্ধ এসে লাগে নাকে।  

কাঁপা কাঁপা হাতে ক্যাথরিনের মুখের ওপর হাত বোলায় অতসী। অবিন্যস্ত রুপোলি চুলের ফাঁকে দৃষ্টি ঝাপসা লাগে যেন। চোখের পাতায় জল চিকচিক করতে থাকে। 

তারপর ভাঙা গলায় অস্ফুটে বলে, 'বড় চেনা লাগে মুখটা...........কোথায় যেন..........'  

ক্যাথরিনের মুখে শান্ত, স্নিগ্ধ হাসি খেলে যায়। ঘরময় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এক নতুন বন্ধনের আলো.......


চিত্র: গুগল ; বিন্যাস : নিজস্ব 


#bengalishortstories #bengalilovestories #Molat   





  

Saturday, May 19, 2018

সাপ্তাহিকী ৩৫ # বহিছে ধারা

ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে সমরেশ গজগজ করতে থাকেন। পাঁচটার মধ্যে ফেরার কথা ঋকের। সাড়ে পাঁচটা বাজে অথচ ধারে কাছে টিকি পাওয়া যাচ্ছে না ছেলের। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে এলেন তিনি। হাজরা কালীঘাটের মুখে ডানদিকের সরু গলির দোতলা রংচটা বাড়ি। গলির শেষ মাথাটা অবধি দেখা যায় বারান্দা থেকে। দুচারজন পথচলতি মানুষের ভিড়ে অতিপরিচিত মুখটা খুঁজতে থাকেন সমরেশ। বিকেল শেষের ছিঁটেফোঁটা আলোয় সময় পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ ছেলের দেখা নেই। আজ আইপিএলের খেলা আছে ইডেনে। প্রায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দুটো টিকিট জোগাড় করেছেন সমরেশ। বাবা ছেলের ক্রিকেট দেখার শখ সাংঘাতিক। এখনই বেরোতে না পারলে ঠিকমতো গুছিয়ে বসা যাবে না। ভিড় তো আছেই তার ওপর জ্যাম। এসব ভাবতে ভাবতে অস্থির হয়ে ওঠেন নিরুপায় বাবা। আর ধৈর্য রাখতে না পেরে পকেট থেকে মোবাইল বের করে নম্বরটা ডায়াল করতে থাকেন। 

অকস্মাৎ দরজা ঠেলে হাঁপাতে হাঁপাতে ভিতরে ঢোকে ঋক। ব্যাগটা সাইডে ফেলে সোফার ওপর ধপ করে বসে পড়ে। সমরেশ চেঁচিয়ে ওঠেন। 
-  কিরকম আক্কেল তোর ? কটা বাজে খেয়াল আছে ? এখনই বেরোতে না পারলে....... 
পুরোটা শেষ করতে দেয় না ঋক। হাত তুলে থামায় বাবাকে। টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে দু ঢোঁক জল খেয়ে নেয়। তারপর একটু দম নিয়ে নিচুস্বরে বলে, 'কোচিং থেকে বেরিয়ে দেখলাম পাশের পাড়ায় ব্লাড ক্যাম্প হচ্ছে। দিয়ে আসতেই যা একটু দেরি হল'। 

মুহূর্তে শান্ত হয়ে গেলেন সমরেশ। ঋকের প্রতি আরও কিছু ক্ষোভের কথা মুখের মধ্যে মিলিয়ে গেল আপনিই। ঘুরে তাকালেন দেওয়ালে ঝোলানো একটা বাঁধানো ছবির দিকে। একফুট বাই একফুটের কাঠের ফ্রেমে একটা গোটা ইতিহাস স্তব্ধ হয়ে আছে। বছর দুয়েক আগের স্মৃতি এখনো দগদগে ঘায়ের মতো দুজনের বুকেই জীবন্ত। কান পাতলে এখনো সেই গাড়ির কর্কশ আওয়াজটা মাথার মধ্যে তীব্র জ্বালা ধরায়। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার ভয়াল কোপে স্নেহলতা আজ দুজনের থেকে বিচ্ছিন্না। দেশপ্রিয় পার্কের মোড়ে এক উন্মাদ ট্যাক্সির চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় একটা শরীর, ক্ষতবিক্ষত হয় দুটো হৃদয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শুধুমাত্র রক্তের অভাবে সেদিন ফেরানো যায়নি তাঁকে। 

বাবার পিছনে এসে দাঁড়ায় ঋক। ছবির কাঁচে সন্তানের ছায়া পড়ায় সম্বিৎ ফেরে সমরেশের। কোমল স্বরে বলেন, 'যা, মুখ হাত ধুয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। সময়মতো পৌঁছতে হবে তো'। বাবার হাতটা আলতো করে ছুঁয়ে দেয় ঋক। কনুইয়ের ভাঁজে একটা গোলাকার ব্যান্ডেড চোখে পড়ে। তৎক্ষণাৎ ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, 'কি ব্যাপার ! চোট লাগল কি করে তোমার' ? সমরেশ কোনোমতে কম্পিতস্বরে বলেন, 'ও কিছু না, তুই অত ভাবিস না'। ঋক হাল ছাড়ে না, গম্ভীরভাবে জিজ্ঞেস করে, 'সত্যি করে বলো, এটা কি করে হল'। সমরেশ খানিক্ষন চুপ করে থাকেন। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, 'আসলে আজকের দিনেই তো........তাই অফিস যাওয়ার আগে আমিও একবার ওই ব্লাড ক্যাম্পে.......'। 
নিজেকে আর সামলাতে পারে না ঋক । এক লহমায় জড়িয়ে ধরে সমরেশকে। অন্তর্নিহিত গ্লানি জল হয়ে বেরিয়ে আসে দুজনেরই গাল বেয়ে। অস্ফুটে বলে, 'বাবা...........'

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এমন গল্প হয়ত খুঁজলে পরে অনেক পাওয়া যাবে। তার কারণ ভারতবর্ষে রক্তের জোগানে বরাবরের সমস্যা আছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রক, ভারত সরকারের একটি রিপোর্টে জানা গেছে যে ২০১৬ সালে ১২ মিলিয়ন ইউনিটের চাহিদা অনুযায়ী শুধুমাত্র ১০.৯ মিলিয়ন ইউনিট রক্তই পাওয়া গেছে। সুতরাং ঘাটতির পরিমাণটা যে এখনও বিপুল তা এই সহজ অঙ্কের মাধ্যমেই বোঝা যায়। আমাদের মধ্যে এখনো অনেকেই আছেন যাঁরা রক্তদান এড়িয়ে চলেন, বিভিন্ন রকমের অজুহাত দেন এবং সর্বোপরি রক্তদান সম্পর্কে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন। যেমন - রক্তদান করলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বা পরবর্তীকালে নানান রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে ইত্যাদি। তাঁদেরকে বলব সময় করে নাহয় একবার আপনার চিকিৎসককেই জিজ্ঞেস করে দেখুন। তাঁর কথা নিশ্চই বিশ্বাসযোগ্য হবে এই আশা রাখি।

আর বাকিদের বলি, আগামী ২০শে মে জেনেসিস হাসপাতালে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। যাঁরা রক্ত দিতে ইচ্ছুক তাঁরা একঝলক এই ছবিতে চোখ বোলালেই পুরোটা বুঝতে পারবেন। বাকি সুস্থ থাকুন আর রবিবার দেখা হচ্ছে ......

#blooddonationcamp #blooddonation #bengalishortstory #Molat #GenesisHospitalKolkata